ব্রিজ
অনির্বাণ ভট্টাচার্য
রকেট সব জানে। মা সনি
আঙ্কেল- কে ফোন করে।
রাতে। ওপাশ থেকে বাবা’র
‘ক্যামেরায় অমুকের
সাথে প্রদীপ্ত আচার্য’-
র মতো না, একটা অন্যরকম
স্বর সেক্টর ৫ এ ধাক্কা
মারে, যেটা রকেট শুনতে
পায় না। তবে বাহাদুর
পায়। রাতে শব্দ জোরে
শোনা যায় – আধকালা
বাহাদুর তাই রকেটের গলা
শুনতে পায়। ‘এত রাতে
ছোটা সাব?’ তাতে তোমার
কী, স্কুলের রুদ্র
এভাবেই বলে। বাকী
ফ্রেন্ডরাও। ওদের
ড্রাইভারকে। রকেট পারে
না। একদিন আর বলবে না।
তখন নিজেই চালাবে। সাঁই
সাঁই এগোয় গাড়ি। রাত কত
হবে? ‘দরবারি কানাড়া’।
বাবা বলেছিল। এস্রাজে।
বাবা এখন বাজায় না।
গাড়িটা ব্রিজ পেরচ্ছে।
‘এই থামো’। মা পালটে
গেছে। হপ্তায় একবার
পড়াশুনোর খবর। এখন আর
টম সয়ার, পিটার প্যান
আসে না অফিস ফেরত। তবে
সনি আঙ্কেল আসে।
বাহাদুর ঘুমিয়ে কাদা।
টুক ক’রে একটা শব্দ।
নীচে, জলে। মা- র মনেই
থাকবে না। বাবাও কাজের
চাপে...। তবু, নদীটা তো
থাকবে। ব্রিজটা থাকুক,
না থাকুক। ঢিলগুলো
পকেটে ছিল। এক এক ক’রে
বের করছে রকেট। সময়
কাটুক।